তীব্র দাবদাহে অক্সিজেন সংকটের কারণে যশোরের অভয়নগরে কুমোরঘাঁড়ে কৃষি ও মৎস্য প্রকল্পে থাকা প্রায় ৩৫ লাখ টাকার মাছ মরে গেছে। উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বলারাবাদ গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটে।
এ অবস্থায় প্রকল্পের সদস্যরা প্রকল্প বাঁচাতে উপজেলা মৎস্য অফিসের মাধ্যমে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেছেন। সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, মৎস্য প্রকল্পের উঁচু অংশটি শুকিয়ে গেছে। নিচু অংশে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার ছোট ও বড় ধরনের মাছ মরে ভেসে রয়েছে।
হাজার হাজার জীবিত মাছ প্রাণ বাঁচাতে পানির ওপরে অক্সিজেন নেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তীব্র খরায় মাছগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই মরে ভেসে উঠছে। ১৭৮ বিঘা জমিতে গড়ে তোলা মৎস্য প্রকল্পের সর্বত্র মরা মাছ ভেসে আছে।
এ ব্যাপারে প্রকল্পের সভাপতি কামরুল হাসান জানান, রোববার দুপুরের পর থেকে মরা মাছ ভাসতে শুরু করে। সোমবার মৃত মাছের সংখ্যা কয়েক লাখে গিয়ে পৌঁছায়। আনুমানিক ৩৫ থেকে ৩৮ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা গেছে।
মরা মাছ মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত মৎস্যচাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রকল্পটি বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। অন্যথায় সদস্যরা নিঃস্ব হয়ে পথে বসবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসাইন সাগর জানান, যশোর জেলায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতির মধ্যে মৎস্য ঘেরে অতিরিক্ত পানি সরবরাহ করতে হবে। পানির প্রবাহ রেখে অক্সিজেন সরবরাহ ঠিক রাখতে হবে।
চলিশিয়া ইউনিয়নের কুমোরঘাঁড়ে মৎস্য প্রকল্পে যেভাবে মাছ মরেছে তার কয়েকটি কারণ থাকতে পারে- অধিক পরিমাণে মাছ মজুদ করা, পানির গভীরতা কম, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি।
এছাড়া পানির তলদেশে পচা কালো মাটি জমে থাকার কারণে ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি হয়ে এমনটি হতে পারে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রকল্পের পক্ষ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বলে তিনি জানান।